স্টাফ রিপোটারঃ পাথরঘাটা : বরগুনার পাথরঘাটায় পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে শ্বশুরের বর্গা চাষের আহরিত ২৭৫ আঁটি প্রায় দেড় থেকে ২০০ মণ ধান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে জামাইয়ের বিরুদ্ধে। রোববার (৩০ জানুয়ারি) সকালে উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের বড় টেংরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরপরই পুলিশ ও জনপ্রতিনিধি সরেজমিন পরিদর্শন করেছেন। ভুক্তভোগী শ্বশুর ইব্রাহিম ফরাজীর বাড়ি একই এলাকায়, তার বাবার নাম মৃত হাশেম ফরাজী। মেয়ে জামাতা মো. রাজিবের বাড়ি বরগুনার ইটবাড়িয়া এলাকায়। তার বাবার নাম সোহরাব মৃধা।
শ্বশুর ইব্রাহিম ফরাজী বলেন, আমার মেয়ে কুলসুম বেগমের সঙ্গে জামাই রাজিব মৃধার দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। এ কারণে বেশ কয়েকদিন ধরে কুলসুম আমার বাড়িতেই অবস্থান করে। শনিবার রাতে আমার মেয়ের ফোনে ‘সকালেই তোর বাপের সবকিছু শেষ করে দিব, টের পাবি কাল’ এ রকমের একটি ম্যাসেজ পাঠায়। আমার সন্দেহ হয় যে, আমার জামাই রাজিব মৃধাই এ কাজ করেছে।
তিনি আরও বলেন, নিজের কোনো জমি না থাকায় প্রতিবেশীদের কাছ থেকে বর্গা হিসেবে এনে ৩ একর ৩০ শতাংশ জমিতে ধান চাষ করি। শনিবার সব জমির ধান বাড়িতে আনা শেষ হয়েছে। আমার সবকিছুই শেষ হয়ে গেছে। এখন আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। জমির মালিকদের আমি কি বুঝ দিব।
প্রত্যক্ষদর্শী মসজিদের মোয়াজ্জিন মো. ইউসুফ আলী বলেন, ফজরের আজান দিতে মসজিদে যাওয়ার সময় ইব্রাহিমের বাড়ির মধ্যে ধানের আটিতে আগুন দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে ইব্রাহিমসহ আশপাশের লোকজন আসে। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। আমার ধারণা ধানের আঁটির চারপাশে আগেই কুটা দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সরেজমিন পরিদর্শন করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক বিরোধের কারণে জামাই শ্বশুরের ধানের আঁটিতে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলতে পারে। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে জামাতা রাজিবের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সম্ভব হয়।