মোঃ ইমরান হোসাইন, আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:
বরগুনার আমতলীতে সরকারি নীতিমালার কোনো তোয়াক্কা না করে উপজেলার হাজারটাকা বাধ এলাকায় এডিবি ইটভাটায় অবাঁধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। সেই সঙ্গে কোনো প্রকার অনুমোদন ও পরিবেশ অধিপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই কাঠ দিয়ে ইট পোড়াচ্ছে ইটভাটা মালিক মো. নুরুজ্জামান ও শহিদুল ইসলাম । পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের পরিপত্রে হাইব্রিড হফম্যান, জিগ-জ্যাগ, ভার্টিক্যাল শ্যাফট অথবা পরীক্ষিত নতুন প্রযুক্তির পরিবেশবান্ধব ইটভাটার কথা থাকলেও ইটভাটাাটতে ইট পোড়ানো হচ্ছে বাংলা ও ড্রাম চিমনির মাধ্যমে।
লোকালয়ের পাশেই ফসলের মাঠে গড়ে ওঠা ইটভাটায় নষ্ট হচ্ছে কৃষি জমি। বনভূমি উজার করে কাঠ চেরাই করে পোড়ানোর জন্য বসানো হয়েছে স্ব -মিল । স্ব মিলে কাঠ চেরাই করে পোড়ানোর কারণে মারাত্মকভাবে দূষণ হচ্ছে পরিবেশ। ইটভাটার বিষাক্ত ধোয়ায় গ্রামে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন রোগব্যাধী।
তবে পরিবেশ অধিদপ্তর ও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এসব ইটভাটা চালছে বলে জানান ইটভাটার মালিক মো. নুরুজ্জামান ও ইটভাটার পরিচালনার দায়িত্বে থাকা মো. শহিদুল ইসলাম । যার ফলে পরিবেশ ও কৃষির জন্য হুমকি হওয়া সত্তে¡ও এসব দিকে প্রশাসনের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী অবৈধভাবে ইট পোড়ানো দন্ডনীয় অপরাধ। এ অপরাধের সাজা ১/৫ বছর কারাদন্ড অথবা ১/৫ লাখ টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডের বিধান রয়েছে।
কিন্তু এক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনের কোনো তৎপরতা নেই বললেই চলে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আমতলী উপজেলার হাজারটাকা বাঁধ এলাকার মো. মহিবুর রহমান জানান, যারা ইটের ভাটা করছেন তারা খুবই প্রভাবশালী এবং তাদের প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে অনেক লোক আছে। যে যাই বলুক, তাদের এ অবৈধ ইটভাটা বন্ধ হবে না। এ কারণে সাধারণ মানুষও ভয়ে কিছু বলছে না।
লোকালয়ে ভাটার বিষাক্ত ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ায় স্বাস্থ্যঝুঁকিসহ নানা রোগে লোকজন আক্রান্ত হচ্ছেন বলে জানান এলাকাবাসী।
আমতলী উপজেলা বনবিভাগে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কেএম ফিরোজ কবির বলেন, অবৈধ ভাবে স্ব-মিল বসানো হয়েছে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার ভ’মি মো. নাজমুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন জানান, যেসব অবৈধ ইটভাটা রয়েছে পর্যায়ক্রমে অভিযান চালিয়ে এসবের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
যোগাযোগ করা হলে পরিবেশ অধিদপ্তর, বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক ( উপসচিব) মো. আব্দুল হালিম বলেন ,সম্প্রতি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এডিবি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ড্রাম চিমনী ভেঙ্গে ফেলা হয়েিেছল । ভাঙ্গার পর পুনরায় শুরু করলে শীঘ্রই অবৈধ এডিবি ইটভাটির বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে