1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. sarderamin830@gmail.com : Ajkerajker Ganamat : Ajkerajker Ganamat
বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ অপরাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক । যোগাযোগ: 01773730313
সংবাদ শিরোনাম :
১১ নং ভরপাশা ইউনিয়ন বিএনপির বিশাল মিছিল। ৬ হাজার কোটি টাকায় ড্রেজিংয়ের পরও রাবনাবাদ চ্যানেলে নাব্য সংকট ভিড়তে পারে না কয়লাবাহী বড় জাহাজ, অনিশ্চয়তা বাড়ছে পায়রাসংলগ্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় আসিফ নজরুলের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের পরিণতি ভোগ করতেই হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক বরগুনার তালতলীতে চাচার গোপন অঙ্গ কর্তন কিশোরগঞ্জে যুবদলে থাই জুয়ারী ও বিতর্কিত লোকের মিলন মেলা। কিশোরগঞ্জে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিসব উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন যারা প্রশাসনে যারা দায়িত্বে রয়েছেন আপনারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। কেউ যাতে বৈষম্যের শিকার না সেদিকে খেয়াল রাখবেন—- এ্যাড. নজরুল ইসলাম খান রাজন সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত কর্মস্থলে ডাক্তার সুভাষের অনুপস্থিতে বাবুগঞ্জে ‘স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা চিকিৎসা সেবা’ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে

বরিশালে জমি বিক্রয়ের নামে প্রতারণা, পৃথক দুই মামলা

  • প্রকাশিত : বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৮ 0 বার সংবাটি দেখেছে

 

সাইদুর রহমান সাঈদ বরিশাল প্রতিনিধি।। বরিশালে জমি বিক্রয়ের নামে বায়না চুক্তি করলেও দলিল না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী মোঃ নুরউদ্দিন। তিনি বাকেরগঞ্জ উপজেলার ঢাপরকাঠী এলাকার বাসিন্দা আতাহার আলী কাজীর ছেলে। প্রতারণার শিকার হয়েছে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন নুরউদ্দিন। বিচার চেয়ে দায়ের করেছেন মামলাও। বৈধ পহ্নায় জমি ক্রয়ের জন্য বায়না চুক্তি করলেও এখন জমি ছেড়ে দিতে বিএনপি নেতা পরিচয় সহ বিভিন্ন মাধ্যমে থেকে হুমকি-ধামকিরও শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ডস্থ হরিণাফুলিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। দায়েরকৃত মামলায় দুই জনকে বিবাদী করা হয়েছে। তারা হলেন- ২৩ নং ওয়ার্ডস্থ মৃত রুস্তম আলী হাওলাদারের ছেলে মোঃ রুবেল ও জাহিদ হাওলাদার।

মামলায় ভুক্তভোগী নুরউদ্দিন জানান- অভিযুক্তদের অর্থের ধরকার হলে তাদের ভোগ দখলীয় জমির মধ্যে ৪ শতাংশ বিক্রয় করবে বলে জানায়। আমি জমি দেখে ক্রয়ের জন্য সম্মত হই। এতে জমির মোট মুল্য নির্ধারিত হয় ৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আমি গত ২২/১০/২৩ তারিখে বায়না বাবদ ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা জাহিদকে প্রদান করি। যা তিন’শ টাকার নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে উল্লেখিত। ঐ চুক্তিপত্রে জাহিদ সব স্বাক্ষীদের উপস্থিতিতে স্বাক্ষরও করেন। এছাড়াও সিদ্ধান্ত হয় বায়না চুক্তির সময় থেকে ৩ মাসের মধ্যে জাহিদ তার ভাই রুবেলকে উপস্থিত করে দুজনে অর্থ গ্রহণ করে আমাকে রেজিস্ট্রি করে দিবে।

নুরুদ্দিন জানান- পরবর্তীতে ২৬/১২/২৩ তারিখে জাহিদ ও তার ভাই রুবেল আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আসে। এরপর আমার কাছে জমি বাকি টাকার মধ্যে সাড়ে ৩ লাখ টাকা চান। একইসাথে পরবর্তী দিন আমাকে দলিল রেজিস্ট্রি করে দিবেন বলে উভয়ে জানান। সে মোতাবেক আমাকে তারা খাজনা, দাখিলা সহ বসব কাগজপত্র সংগ্রহ করে দলিল লিখতে দিতে বলেন। আমিও সে অনুযায়ী তাদের চাহিদামত টাকা দেই ও সব কাগজপত্র প্রস্তত করি।

কিন্ত তাদের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পরবর্তী দিন অর্থাৎ ২৬ ডিসেম্বর তারা আসতেছি বলে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত মুঠোফোনে কালক্ষেপন করায়। একপর্যায়ে তারা উভয়েই ফোন বন্ধ করে রাখে। আমি তাদের বাড়িতে গিয়েই আর খুজে পাইনা। তারা পালিয়ে যান। এরপর স্থানীয় কাউন্সিলর ও থানা পুলিশের মাধ্যমে বিষয়টি একাধিকবার মিমাংসার চেষ্টা করা হলেও তারা দলিল আজ দেই, কাল দেই বলে টালবাহানা শুরু করে।

পরবর্তীতে হঠাত গত ১৮/০৭/২৪ তারিখে জানতে পারি, অভিযুক্ত দুই ভাই সাবরেজিস্ট্রি অফিসের মধ্যে আমার সাথে বায়না চুক্তি করা জমি অন্যত্র বিক্রির পাঁয়তারা চালাচ্ছে । আমি ও স্বাক্ষীরা এ খবর শুনে দ্রুত রেজিস্ট্রি অফিসে যাই। এসময় অভিযুক্তদের কাছে আমার থেকে নেয়া বায়না চুক্তির এ পর্যন্ত দুই দফায় ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে দলিল দিচ্ছেন না কেন জানতে চাইলে তারা পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেন। এসময় তারা স্বাক্ষীদের প্রশ্নের মুখে পড়লে আমাকে হুমকি দিয়ে দ্রুত মোটরসাইকেল যোগে পালিয়ে যান। পরক্ষণে আমার সাথে তারা প্রতারণা করেছে তার সুস্পস্ট বুঝতে পারি। এরপর প্রতারকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করি। এদিকে নুরুদ্দিনের দায়ের করা মামলা বিজ্ঞ আদালত মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা কার্যালয়ে (ডিবি) তদন্তের জন্য নির্দেশ দেন। সে মোতাবেক ডিবির পুলিশ পরিদর্শক মোঃ ছগির হোসেন গত ২৮/০৯/২৪ তারিখে মামলার তদন্ত কার্য সম্পন্ন করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদনে বিবাদীদের প্রতারণার বিষয়টি প্রমাণিত হয়। বাদীর আনীত অভিযোগের সত্যতা পায় তদন্তকারী এ কর্মকর্তা। তফসিলভুক্ত সম্পত্তি হলো- বরিশাল জেএল-২৫, মৌজা-হরিণাফুলিয়া, এস এ খতিয়ান ৭৩৪, জমাখারিজ খতিয়ান ১৬৭৮ তথা সৃজিত খতিয়ান ২৫২৯, এস এ দাগ নং-৩২৯১, বিএস খিতিয়ান ২৮ তথা বিএস জমাখারিজ ৩৩১২, দাগ নং-৪৭৯৬, জমির পরিমান ১৮.৫০, এর মধ্যে বায়না জমির পরিমান ৪ শতাংশ।

এদিকে বিবাদীরা নুরউদ্দিনের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে তার পুর্বের ক্রয়কৃত রেকর্ডিও ও চলমান বিরোধপুর্ণ বায়না চুক্তি করা মোট ৭.৫০ শতাংশ জমি দখলের পায়তারা চালায় । এরই ধারাবাহিকতায় বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আরও একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নুরউদ্দিন। মামলা নং-১১৪৮। একইসাথে শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ে ১৪৪ ও ১৪৫ ধারা জারির আবেদন জানান তিনি।

ভুক্তভোগী নুর ঐ মামলায় জানান- গত ০৭/০৭/২৪ তারিখে আসামী দুই ভাই জাহিদ, রুবেলসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জন আমার রেকর্ডিও ও বায়না চুক্তি করা সম্পত্তি বিভিন্ন সরঞ্জমাধি নিয়ে দখলের পায়তারা চালায়। আমি বাধা প্রদান করলে আমাকে বিভিন্নভাবে খুন ও জখমের হুমকি প্রদান করেন তারা। আমি ডাক-চিৎকার দিলে তারা আমার রেকর্ডিও সম্পত্তিও ভোগ দখল করতে দিবেনা বলে হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এদিকে ভুক্তভোগীর আবেদনের প্রেক্ষিতের বিরোধীয় ঐ জমির ওপর ১৪৪ ও ১৪৫ ধারা জারি করেন সংশ্লিষ্ট আদালত। নোটিশ প্রদানসহ শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায়ের ক্ষেত্রে গত ০২/০৯/২৪ তারিখে কোতয়ালী মডেল থানার ওসিকে নির্দেশ প্রদান করা হয়। সে মোতাবেক উভয় পক্ষকে শান্তি বজায়ে নোটিশ প্রদান করেন থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক রেজাউল ইসলাম। বর্তমানে সেটি বহাল রয়েছে। তফসিল ভুক্ত সম্পত্তি হলো- থানা বরিশাল , জেলা বরিশাল, জে. এল নং-২৫ , মৌজাঃ হরিণাফুলিয়া, এস. এ খতিয়ান নং- ৭৩৪, জমাখারিজ খতিয়ান ১৬৭৮, সৃজিত খতিয়ান ২৫২৯, এস.এ দাগ নং-৩২৯১, বি.এস খতিয়ান ২৮ , জমাখারিজ ৩৩১২, দাগ নং-৪৭৯৬, জমির পরিমাণ ১৮.৫০, এর মধ্যে বিরোধীয় ৭.৫০ শতাংশ।

 

তবে আওয়ামী সরকার পতনের পর জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগে জানিয়েছেন মোঃ নুরউদ্দিন। বিবাদীদের পক্ষ নিয়ে বিভিন্নভাবে বিএনপি নেতা পরিচয়ে জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছেন নগরীর ২৪ নং ওয়ার্ডের শফিকুল ইসলাম শফিক।

নুরউদ্দিন জানান- বিবাদীদের পক্ষ নিয়ে আমার বায়না চুক্তি করা জমি আমাকে জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য বলেন। আমাকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন তিনি। আমাকে বরিশাল থাকতে দিবেন না বলে হুমকি প্রদান করছে। এ বিষয়ে আমি সংশ্লিস্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি। আমি আমার জমি বুঝে পেতে চাই। কিন্ত বিবাদীরা যদি জমি আমাকে দিতে নাও চান তবে তারা যেন আমাকে সব টাকা ফেরত দেন।

এদিকে স্থানীয় সাবেক কাউন্সিলর এনামুল হক বাহারও বিষয়টি মিমাংসার জন্য একাধিকবার চেস্টা করলেও সুরাহা পায়নি ভুক্তভোগী নুরউদ্দিন। বিবাদীরা শালিসিতেও জমির দলিল দিচ্ছি, দিবে বলে একাধিকবার প্রতিশ্রুতিও দেয়। কিন্ত বাস্তবে বিবাদীরা প্রতারণার আশ্রয়ে বর্তমানে বিএনপি নেতার প্রভাব খাটিয়ে জমি দখলের পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে বলে নুরউদ্দিন। এছাড়া প্রতারণার ঘটনায় কাউন্সিলরও সত্যতা পান। কিন্ত অদ্যবধি কোন সুরাহা মিলছেনা ।

এ বিষয়ে জানতে বিবাদীদের মুঠোফোনে সংযোগের চেষ্টা করা হলে তা ব্যর্থ হয়। তবে অভিযুক্ত জাহিদের স্ত্রী রোকসানা জানান- নুরউদ্দিন প্রথমে আমাদের কাছ থেকে ওয়ারিশসুত্রে প্রাপ্ত মালিক আমার স্বামী জাহিদ ও তার ভাই রুবেল এর কাছ থেকে ৩.৪০ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। যার মুল্য ৭ লাখ ৮২ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা দেন নুরউদ্দিন। সম্পর্কের গভীরতায় পরবর্তীতে টাকা দিবেন বলে জানান। এতে পুরো টাকা পাওয়ার পুর্বেই সম্পর্ক ভাল থাকায় জমির দলিল দেন আমার স্বামী। কিন্ত পরবর্তীতে তিনি ঐ জমি নিজের নামে রেকর্ড করালেও বাকি টাকা আর দেননি। আমাদের প্রাপ্য টাকা তার কাছে একাধিকবার চাইলে তখন নুরউদ্দিন উল্টো আমাদের কাছে টাকা পান বলে জানান। এর মধ্যে আমাদের পার্শবর্তী ৪ শতাংশ জমির ভুয়া বায়না চুক্তি করেন নুরউদ্দিন। একইসাথে সাবেক কাউন্সিলর বাহার ও তার দলবল নিয়ে তার কাটার বেড়া দিয়ে পার্শবর্তী জমি দখল করেন।

এ বিষয়ে শফিকুল ইসলাম জানান- আমি কাউকে হুমকি দেইনি। আমি নুরুদ্দিনকে শুধু বলেছি , যদি টাকা দিয়ে থাকেন তবে সব ডকুমেন্ট নিয়ে আসেন। তিনি বলেছেন, সব ডকুমেন্ট আছে। আমার বিরুদ্ধে অহেতুক অভিযোগ দিচ্ছে নুরউদ্দিন।

এদিকে বিপুল অর্থ দিয়ে জমি ক্রয় করলেও দলিল না পাওয়ায় ও বর্তমানে বিভিন্ন ধরণের হুমকির শিকার হয়ে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন ভুক্তভোগী নুরউদ্দিন। জমি ফিরে পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

 

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ