স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুভাষ সরকার প্রায় দুই মাস ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। চলমান বছরের গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর থেকে আত্মগোপনে চলে যান তিনি। যে কারণে ওই উপজেলার ‘স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা চিকিৎসা সেবা’ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায় ডাঃ সুভাষ সরকার ছুটিতে আছে এমন তথ্য ছড়িয়ে দেয়া হলেও গত দুই মাসে একদিনও অফিস না করায় প্রতিষ্ঠানের স্টাফসহ স্থানীয় অধিকাংশ জনমনে নানা প্রশ্নের দানা বেঁধে উঠেছে।
কেউ বলছেন- এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিখোঁজ না আত্মগোপনে ? আবার কেউ বলছেন গত ৫ আগস্টের পর কর্তৃপক্ষকে রহস্যজনভাবে ম্যানেজ করে ছুটির নামে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। একটি সূত্র বলছে কেন্দ্রীয় বিএনপির এক নেত্রীর সাথে সমঝোতা করে কর্মস্থলে ফেরার চেষ্টা চালাচ্ছেন ডাঃ সুভাষ সরকার।
দীর্ঘদিন ছুটিতে থাকায় ওই উপজেলায় “রোগ নিরাময় বা চিকিৎসা সেবা প্রদান ও রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ, নিরাপদ গর্ভাবস্থা এবং নিরাপদ প্রসব নিশ্চিত করে মাতৃ স্বাস্থ্য রক্ষা, মেডিকো লিগ্যাল দায়িত্ব পালন কার্যক্রমে মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। ” অপর এক সূত্র নিশ্চত করে জানায়, ২০২০ সালে বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন ডাঃ সুভাষ সরকার।
আ.লীগ শাসনামলে তিনি নিজেকে গোপালগঞ্জের বাসিন্দার প্রভাব বিস্তার করে ক্ষমতার দাপটে কর্মস্থলে দায়িত্ব পালনের পাশাপশি নানা অনিয়মে যুক্ত ছিলেন। আ.লীগের পতনের পরই কর্তৃপক্ষ ম্যানেজ করে ছুটির নামে আত্মগোপনে চলে যায়। সেই সময় তার ব্যবহৃত মুঠোফোনও বন্ধ রেখেছিলেন। এখন দেশের পরিস্থিতি বুঝে নিজেকে নতুন রুপে সূচনা করছেন ।
বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সুভাষ সরকার মুঠোফোনে বলেন, গত ৫ আগস্টের পর তিনি কয়েকদিন অফিস করেছিলেন এবং অফিসিয়ালভাবে জেলা ও উপজেলার অনুষ্ঠিত প্রোগ্রামেও অংশগ্রহণ নিয়েছিলেন। তবে গত দুই মাসে দুই দফায় মোট এক মাস বিশ দিন অফিসিয়ালভাবে ছুটিতে ছিলেন।
এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করে বরিশাল জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মারিয়া হাসান বলেন, নিয়মানুযায়ী ডাঃ সুভাষ সরকার ছুটিতে ছিলেন