হাফিজুর রহমান,
বরগুনা জেলা প্রতিনিধি।।
বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলায় চাচা কবির হোসেনের (৩৫) গোপন অঙ্গ ভাতিজি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কেটে দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত চাচাকে স্বজনরা উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছে। ঘটনা ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাতে সোনাকাটা ইউনিয়নের সোকিনা গ্রামে।
জানাগেছে, উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের সোকিনা গ্রামের কবির হোসেন দীর্ঘদিন ধরে তার দুর সর্ম্পকের এক ভাতিজিকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। কিন্তু ভাতিজি চাচার এমন কু-প্রস্তাবে রাজি হয়নি। বৃহস্পতিবার রাতে চাচা ওই ভাতিজিতে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। এ সময় ভাতিজি ধারালো অস্ত্র দিয়ে চাচার গোপন অঙ্গ কেটে দেয়। পরে স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। ওই হাসপাতালের চিকিৎক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরন করেছে। শুক্রবার সকালে কবির হোসেনকে শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। কবির হোসেন দুই সন্তানের জনক।
ভাতিজি অভিযোগ করে বলেন, দুর সর্ম্পকের চাচা প্রায়ই আমাকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার রাতে আমাকে ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ চেষ্টা চালায়। এ সময় আমি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তার গোপন অঙ্গ কেটে দিয়েছি।
চাচা কবির হোসেন বলেন, আমাকে জোরপুর্বক ধরে নিয়ে তিনজনে মিলে গোপন অঙ্গ কেটে দিয়েছে। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবী করছি।
তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ একেএম মনিরুল ইসলাম বলেন, আহত কবির হোসেনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, তার গোপন অঙ্গের বেশকিছু অংশ কেটে গেছে।
তালতলী থানার ওসি মোঃ কালাম খাঁন বলেন, খবর পেয়েছি। অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।