নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বেশ কিছুদিন যাবত বরিশাল নগরীর রুপাতলি এলাকায় দোকান মালিক ও ভাড়াটিয়ার মধ্যে বিবাদ সৃষ্টির ঘটনায় নগর জুড়ে ব্যাপক তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা নামক শিরোনামে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি বরিশালের স্থানীয় একটি পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া হয়। নগরীর রুপালি নগর প্লাজা মার্কেটের ৬ টি দোকান অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে জসিম স্যানেটারি নামক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রোপাইটার মোঃ জসিম খান।
গত পাঁচ বছর ধরে দোকান মালিককে ভাড়া না দিয়ে কূটকৌশলে দোকানগুলো দখল করে। উল্টো দোকান মালিকের কাছে চাঁদা দাবী করছে জসিম। উকিল নোটিশ পূর্বক দোকান ছাড়ানোর নোটিশ দেয়া হলেও। জসিম তা তোয়াক্কা না করে উল্টো দোকান মালিক আব্দুল মান্নান ও তার ছেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এমনকি জসিম তাদের উপর হাতুড়ি দিয়ে হামলা চালিয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, রুপাতলীর নগর প্লাজা মার্কেটের মালিক আব্দুল মান্নানের কাছ থেকে দোকান ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছিলেন জসিম নামের এক ব্যক্তি। প্রথমে ঠিকভাবে ভাড়া প্রদান করলেও কিছুদিন পরেই বেরিয়ে আসে জসিমের আসল রূপ । দোকান ছেড়ে দিবে বলে ভাড়া দেয়া বন্ধ করে দেয় জসিম । ভাড়ার চুক্তিপত্রের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর দোকান মালিক আব্দুল মান্নান যখন তাকে দোকান ছেড়ে দিতে বলেন ঠিক তখনই জসিম বিভিন্ন টালবাহানা শুরু করে। ভুক্তভূগী দোকান মালিক আব্দুল মান্নান বলেন, ভাড়াটিয়া জসিমকে দোকান ছেড়ে দিতে চাপ প্রয়োগ করলে সে ভুয়া কাগজ বানিয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেন তিনি। শুধু মামলা দিয়ে ক্ষান্ত হয়নি জসিম। রুপাতলী এলাকার প্রভাবশালীদের সহায়তায় আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে জসিম তার সন্ত্রাসী বাহিনী লেলিয়ে দেয়।গত পহেলা মার্চ রুপাতলী বাস স্ট্যান্ড এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে জসিমের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার এবং আমার ছেলের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রসহ হামলা চালায়। তখন স্থানীয়দের সহায়তায় আমার ছেলে আমাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এবিষয়ে দোকান মালিক আব্দুল মান্নানের পূত্র ডাঃ জিয়াউল হক জানান, গত ২৮/০২/২৩ তারিখে জসিম খান ও তার ভাগিনা নয়ন ও রাশেদ খানসহ ২০/২৫ জন আমার বসতঘরের সামনে এসে বাবা ও আমার ভাইকে হত্যার হুমকি দেয়। ঘটনায় আমি কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডাইরী দায়ের করি। এ ঘটনায় জসিম ক্ষিপ্ত হয়ে গত ০১/০৪/২৩ইং তারিখে আমার বাবা আব্দুল মান্নান ও ছোট ভাইকে বেদম মারধর করে। স্থানীয়রা বাবাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করে এবং ছোট ভাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছিল।
এব্যাপারে জসিম স্যানেটারি প্রোপাইটার মোঃ জসিম খানরে ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
এঘটনায় বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, তাদের দুই পক্ষকে থানায় ডেকে তাদের কাগজপত্র দেখে বিষয়টি সমোজতার চেস্টা করলে তারা সমাধানে না আসায় বিষয়টি তদন্তাধীন চলমান রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান এই অফিসার।
এ ঘটনায় প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন ভুক্তভোগী ওই দোকান মালিক আব্দুল মান্নান।