নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বরিশালে রোজার শেষভাগে এসে পুরোদমে জমে উঠেছে ঈদের পোশাকের বাজার। এতে এবার ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি টাকার বেচাবিক্রির আশা ব্যবসায়ীদের। আর দ্বিগুণ থেকে তিনগুন দামে বিক্রির দায়ে একাধিক দোকানকে জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিদফতর।
ঈদ ঘিরে বরিশাল নগরের শপিংমলগুলো এখন দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত ক্রেতাদের পদচারণায় মুখর। পাশাপশি নগর ভবনের সামনের ফুটপাতে বসেছে অস্থায়ী সব দোকান।
সকাল থেকেই বরিশাল নগরীর এসব দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। নিম্ন, নিম্ন-মধ্যবিত্ত মানুষের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও আসছেন এখানে। একটু কম দামে পাওয়া যাচ্ছে রকমারি পোশাক। দর কষাকষি করেই নিচ্ছেন পছন্দের জামা কাপড়।
ক্রেতারা বলেন, বাজারে সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বমুখী। এতে নতুন পোশাক কিনতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তবে ঈদ উপলক্ষে পরিবারের সকলের জন্য বাধ্য হয়েই কিনতে হচ্ছে পোশাক।
অপরদিকে বিক্রেতারা বলছেন, সবকিছুর দাম বাড়ায় বেড়েছে পোশাকের দামও। আর গরমের জন্য এবার ঈদে ছেলেরা সুতির পাঞ্জাবি, টি-শার্ট ও মেয়েদের পছন্দের তালিকায় আছে থ্রি পিস, নায়রা, সারারা, গারারা গাউন।
এদিকে প্রথম দিকে বেচাবিক্রি নিয়ে চিন্তিত থাকলেও এখন ব্যবসা জমজমাট হওয়ায় খুশি ব্যবসায়ীরা। এবারের ঈদে ৭০০ থেকে ৮০০ কোটি টাকার বেচাকেনা হওয়ার আশা তাদের।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সহসভাপতি শেখ আব্দুর রহমান বলেন, বেচাকেনা গত বছরের মতোই আছে। এভাবে চললে বেচাকেনা হাজার কোটির টাকার কাছাকাছি পৌঁছাবে।
অন্যদিকে মার্কেটগুলোতে পোশাক বিক্রি করা হচ্ছে দ্বিগুণ থেকে তিনগুন বেশি দামে। তাই বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকার নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। একাধিক প্রমাণ পাওয়ায় জরিমানাও করা হয়েছে বিভিন্ন দোকানে। তারপরও লাগাম টানা যাচ্ছে না অসাধু ব্যবসায়ীদের
বরিশাল জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারী বলেন, বেশি দামে পোশাক বিক্রি করার অভিযোগে বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ তদারকি কার্যক্রম আগামীতেও অব্যাহত থাকবে।
বরিশাল নগরীতে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় এক হাজার পোশাকের দোকান রয়েছে।