স্টাফ রিপোটার।। বীর মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট মোঃ শহিদুল হক মল্লিক ১৯৬৮ সালে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন তিনি ১৯৭০ সালে পাকিস্তান থেকে চার মাস ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন ছুটির শেষে ১৯৭১ সালে যুদ্ধ শুরু হয় তিনি দেশপ্রেমে আর পাকিস্তানের যায়নি যুদ্ধে যোগদান করেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ শহিদুল হক মল্লিক জাফর বাহিনীর সাথে যোগদান করেন । বিভিন্ন এলাকার মুক্তিযুদ্ধে দের প্রশিক্ষণ দেন এবং বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ করেন।দীর্ঘ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে তিনি বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ করেন। তার ভিতরে উল্লেখযোগ্য একটা কাহিনী তার দল সহ বাকেরগঞ্জ থানা দখলকৃত পাক বাহিনী ও রাজাকারদের আত্মসমর্পণ করান।যুদ্ধ শেষে তিনি আবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগদান করেন ২৪ বছর চাকরি চলাকালীন তিনি বাংলাদেশ সরকার থেকে বিভিন্ন সম্মাননা পান। চাকরি থেকে অবসরে যান ১৯৯২ সালে। বীর মুক্তিযোদ্ধা সার্জেন্ট মোঃ শহিদুল হক আরো সাংবাদিকদের জানান। স্বাধীনতা আমাদের জাতীয় জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন। ৩০ লাখ শহীদ আর দুই লাখ মা বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধারা ছিনিয়ে আনেন স্বাধীনতার লাল সূর্য। বাংলাদেশকে উপহার দিয়েছি বিশ্ব সেরা অনন্য সংবিধান। কারও দান কিংবা অনুকম্পা নয়, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলার এই স্বাধীনতা। জনগণের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মুক্তির মাধ্যমে সোনার বাংলা।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার ইতিহাস ছড়িয়ে দিতে হবে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের মাঝে। স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস নব প্রজন্মকে জানাতে হবে। তবেই তাঁরা মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপস্থিতিতে যুগ যুগ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও স্বাধীনতার ইতিহাসের ধারণ ও লালন করে গৌরবময় স্বাধীনতাকে সমুজ্জ্বল রাখতে পারবে। তিনি বরিশাল জেলা প্রশাসক বাকেরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন থেকে বিভিন্ন সম্মাননা পান তিনি কলসকাঠি ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও কলস কাঠি কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সহ-সভাপতি পদে নিয়োজিত তিনি বর্তমানে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডের সাথে জড়িত আছেন। তিনি স্বপরিবারে ওমরা হজ্জ করতে যাবেন সকলের কাছে দোয়া চেয়েছেন।