ডেস্ক রিপোর্ট :বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলা খাদ্য গুদামের ভেতরে বসে সরকারি চালের বস্তা ভেঙ্গে প্লাস্টিকের বস্তায় প্যাকেট করার সময় হাতেনাতে ৮০০ বস্তা চালসহ গ্রেপ্তার হয়েছেন উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) ফরিদা খাতুন। একই সময় তার সহযোগী মোফাজ্জেল খানকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিক্তিতে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক, ইউএনও এবং ওসির নেতৃত্বে একটি দল উপজেলা খাদ্য গুদামে ওই যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে ৮০০ বস্তায় ভর্তি ২০ মে. টন সরকারি চাল ছাড়াও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিলযুক্ত ৫০৭ টি সরকারি চালের খালি বস্তা এবং জোড়া কবুতর ও ডলফিন মার্কার ১ হাজার পিস মিনিকেট চালের খালি বস্তা উদ্ধার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক রুবিনা পারভীন বাদী হয়ে ওসিএলএসডি ফরিদা খাতুন, তার সহযোগী মোফাজ্জেল খান, স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি রসুল জমাদ্দারসহ ৫ জনকে আসামী করে বাবুগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।এবিষয়ে বরিশাল জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ডিসি ফুড) মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, বাবুগঞ্জের ওসিএলএসডি ফরিদা খাতুনের বিরুদ্ধে গুরুতর অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ পেয়ে তাকে হাতেনাতে ধরার পরিকল্পনা করে খাদ্য মন্ত্রণালয়। সে অনুযায়ী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাতে বাবুগঞ্জের ইউএনও এবং থানার ওসিকে নিয়ে উপজেলা খাদ্য গুদামে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সরকারি সিলযুক্ত ৫০ কেজির চালের বস্তা বদল করে জোড়া কবুতর ও ডলফিন মার্কা নামের ২টি কোম্পানির প্লাস্টিকের মিনিকেট চালের ২৫ কেজির বস্তায় ভরে প্যাকেট করার সময় ওসিএলএসডি ফরিদা খাতুন ও তার সহযোগী মোফাজ্জেল খানকে হাতেনাতে আটক করা হয়েছে। এবং তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে দিয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। বাবুগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ আমীনুল ইসলাম বলেন, এঘটনায় গুদামটি সিলগালা করা হয়েছে।