1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. sarderamin830@gmail.com : Ajkerajker Ganamat : Ajkerajker Ganamat
বৃহস্পতিবার, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:৫২ অপরাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক । যোগাযোগ: 01773730313
সংবাদ শিরোনাম :
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোর বিরোধী অমিত বিশ্বাস। তারপরও সরকারের সুবিধা ভোগ করছে। হাসনাতকে দেখতে গেলেন বিমানবাহিনী প্রধান ৭ গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে আহত শতাধিক, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণ বন্যার্তদের পাশে নিজের জন্য কেনা নতুন শাড়ী নিয়ে বৃদ্ধা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান বাকেরগঞ্জে ছাত্রদল নেতার বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি ১২ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সাংবাদিক রাব্বী মোল্লা’র জন্মবার্ষিকী আজ। ঝালকাঠিতে আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান বাচ্চুর অপসারন দাবিতে মানববন্ধন বাকেরগঞ্জে আত্মগোপনে জনপ্রতিনিধিরা নাগরিক সেবা ব্যাহত

অর্থনৈতিক সংকট সামাল দিয়ে রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে চায় সরকার

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২ মে, ২০২৩
  • ১২২ 0 বার সংবাটি দেখেছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সদরদপ্তরে যৌথভাবে চিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধনের পর তা ঘুরে দেখছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (বাম থেকে দ্বিতীয়) ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস (ডান থেকে দ্বিতীয়)। ১ মে ২০২৩।
[সৌজন্যে: তথ্য অধিদফতর]
বিশ্লেষকদের মতে, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে অর্থনৈতিক সংকট বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থাকে নাজুক করে তুলতে পারে, এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওয়াশিংটন সফর তাৎপর্যপূর্ণ।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে দেশের সর্ববৃহৎ উন্নয়ন অংশীদার বিশ্বব্যাংকের এক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়ন সহযোগীদের বিনিয়োগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।

এর দুই দিন আগে প্রধানমন্ত্রী সাক্ষাৎ করেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে।

উল্লেখ্য, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরুর পরে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হতে থাকলে ডলারের সংকট দেখা দেয়। সরকার আমদানি নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু উদ্যোগ নিলেও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নেমে যায় ব্যাপক হারে।

এর মধ্যে আইএমএফ গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশের জন্য ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে। আইএমএফ-এর এই ঋণকে কিছুটা স্বস্তির বলে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাসস-এর সংবাদ অনুযায়ী, গত ২৯ এপ্রিল সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার সঙ্গে বৈঠকের পরে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা জানান।

এদিকে সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নশীল দেশ হয়ে ওঠার পথে বাংলাদেশের মসৃণ উত্তরণ, পরবর্তীতে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে উত্তরণ লাভ এবং এর ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতা বৃদ্ধি করার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে জাতিসংঘের এলডিসি মর্যাদা থেকে মসৃণ ও টেকসই উত্তরণ লাভের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

বিশ্বব্যাংক সদর দপ্তরের প্রিস্টন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত “বিশ্বব্যাংক-বাংলাদেশ অংশীদারিত্বের ৫০ বছরের প্রতিফলন” শীর্ষক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে পাঁচটি প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন (আড়াই বিলিয়ন) ডলারের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের কাছে পদ্মা বহুমুখী সেতুর একটি ছবি তুলে দেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “আমি আশা করব বিশ্বব্যাংক আগামী বছরগুলোতে আমাদের ভৌত ও সামাজিক উভয় খাতে মেগা-প্রকল্পগুলোতে সম্পৃক্ত হবে।”

এ উপলক্ষে সোমবার বিশ্বব্যাংকের এক বিবৃতিতে জানানো হয় বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব লাখো মানুষের দারিদ্রমুক্তি ও দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে।

‘অর্থনৈতিক সহায়তা ও সমর্থন দুটোই প্রয়োজন’

গত ২৫ এপ্রিল থেকে থেকে শুরু হওয়া ত্রিদেশীয় সফরে জাপান ও যুক্তরাজ্য সফরের মাঝখানে বর্তমানে ছয়দিনের সফরে যুক্তরাষ্ট্র রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার এই সফরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কোনো কর্মকর্তা বা রাজনীতিকের সাথে সাক্ষাৎ বা বৈঠকের কোনো কর্মসূচি নেই।

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে শেখ হাসিনা সরকার যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছে। গত মাসে সংসদে অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের কড়া সমালোচনা করেন শেখ হাসিনা।

তবে প্রধানমন্ত্রীর এই সফরের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দুটো দিকই রয়েছে বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি বিজ্ঞানের অধ্যাপক আলী রিয়াজ।

“বিশ্বব্যাংকের সাথে বৈঠকে তিনি মূলত অর্থনৈতিক সহায়তার সন্ধান করছেন, বর্তমানে বাংলাদেশ অর্থনীতির দিক থেকে খুবই সংকটপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে,” সোমবার বেনারকে বলেন আলী রিয়াজ।

তাঁর মতে, রাজনৈতিক কারণটি, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর কঠোরতার কারণে জাতিসংঘ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনসহ যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে হাসিনা সরকারের সমালোচনার সাথে সম্পর্কিত।

গত মাসেই যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ওপর হুমকি, আক্রমণসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এর আগেও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে মানবাধিকারসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন সময় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

এদিকে গত মাসের শুরুতে সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘অগণতান্ত্রিক’ শক্তিকে ক্ষমতায় আনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র চেষ্টা করছে বলে দেশটির কড়া সমালোচনা করেন। পাশাপাশি দেশের দুর্নীতিবাজদের সহায়তার জন্যও যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনা করেন।

“এখন তিনি (শেখ হাসিনা) দেখানোর চেষ্টা করছেন যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তাঁর প্রতি সহযোগিতার মনোভাব রয়েছে। আর তখন (যুক্তরাষ্ট্রে সমালোচনার সময়) তাঁর সমর্থকদের তিনি তাঁর শক্ত মনোভাব দেখিয়েছেন,” বলেন আলী রিয়াজ।

তিনি বলেন, “তবে একই সাথে, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ছাড়া, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি মোকাবেলা করা তাঁর জন্য খুবই কঠিন হবে। তিনি দেখতে চাইবেন, প্রভাবশালীদের কাছে তাঁর আসন্ন নির্বাচন বৈধ বলে গণ্য হোক, কারণ তাঁর অর্থনৈতিক সহায়তা ও সমর্থন দুটোই প্রয়োজন।”

নির্বাচনের জন্য ‘অর্থনীতিক স্থিতিশীলতা খুব জরুরি’

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজ উদ্দিন খানের মতে, “গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, নির্বাচন ও মানবাধিকার অনেকটা অগ্রাহ্য করে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় টিকে থাকার পেছনে সবচেয়ে বড়ো নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছিল অর্থনৈতিক মজবুত ভিত। হঠাৎ করে সেটি দুর্বল হয়ে পড়ায় আগামী নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের শঙ্কা তৈরি হয়েছে ক্ষমতাসীনদের মনে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ