1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. sarderamin830@gmail.com : Ajkerajker Ganamat : Ajkerajker Ganamat
বুধবার, ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:০৪ পূর্বাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক । যোগাযোগ: 01773730313
সংবাদ শিরোনাম :
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোর বিরোধী অমিত বিশ্বাস। তারপরও সরকারের সুবিধা ভোগ করছে। হাসনাতকে দেখতে গেলেন বিমানবাহিনী প্রধান ৭ গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে আহত শতাধিক, সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণ বন্যার্তদের পাশে নিজের জন্য কেনা নতুন শাড়ী নিয়ে বৃদ্ধা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান বাকেরগঞ্জে ছাত্রদল নেতার বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি ১২ জেলায় ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সাংবাদিক রাব্বী মোল্লা’র জন্মবার্ষিকী আজ। ঝালকাঠিতে আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান বাচ্চুর অপসারন দাবিতে মানববন্ধন বাকেরগঞ্জে আত্মগোপনে জনপ্রতিনিধিরা নাগরিক সেবা ব্যাহত

ব্যাংক খাতে লুটপাট নীতি

  • প্রকাশিত : শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৪৪ 0 বার সংবাটি দেখেছে

 

আজকের গণমত ডেস্কঃ বাংলাদেশের ব্যাংক খাতের এক নম্বর সমস্যা কী? এই প্রশ্ন যত জন বিশেষজ্ঞকে জিজ্ঞেস করেছি তারা সবাই বলেছেন খেলাপি ঋণ৷ বিশেষজ্ঞ কেন, সাধারণ মানুষকে প্রশ্ন করলেও একই জবাব পাওয়া যায়৷

তারা মনে করেন, সাধারণ মানুষের টাকা লুটপাটের সহজ উপায় হলো ব্যাংক থেকে ঋণের নামে টাকা নেয়া এবং ফেরত না দেয়া৷

বিশ্লেষকেরা এটাকে বলছেন টাকা লোপাটের আনুষ্ঠানিক কৌশল৷ আর দেশের এই অর্থ যারা লুট করেন তারা সেটা আবার পাচার করে দেন দেশের বাইরে৷ কিন্তু এর জন্য থাকতে হবে রাজনৈতিক ক্ষমতা, হতে হবে সপরিবারে ব্যাংকের পরিচালক অথবা থাকতে হবে প্রভাবশালী ও শাসকদের সঙ্গে সম্পর্ক৷

এই সময়ে ব্যাংকের তারল্য সংকট, বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ধার করে ব্যাংক চালানো, প্রবলেম ব্যাংক এই সবকিছুর মূলে রয়েছে এই খেলাপি ঋণ৷ কারণ এখান থেকেই সব সংকটের উৎপত্তি৷ ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের আমানতের বিপরীতে কম সুদ দিচ্ছে৷ আর গ্রাহকরা সেই কারণে ব্যাংকে টাকা রাখা কমিয়ে দিয়েছেন৷ যা থেকে আসছে তারল্য সংকট৷ তারও মূলেও এই খেলাপি ঋণ৷ কারণ খেলাপি ঋণের যে ক্ষতি তা কম সুদ দিয়ে পুষিয়ে নিতে চায় ব্যাংক৷ একই সঙ্গে এই পরিস্থিতি ব্যাংকে আস্থার সংকট তৈরি করে৷ বাংলাদেশে এখন খেলাপি ঋণের পরিমাণ এক লাখ লাখ ২০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা৷

সিপিডির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘এই সরকার যখন ক্ষমতায় আসে তখন খেলাপি ঋণ ছিলো ২২ হাজার কোটি টাকা৷ এখন সেটা এক লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা দাঁড়িয়েছে৷ এর মূল কারণ ব্যাংক খাতে সুশাসনের অভাব৷ এখানে সত্যিকারের ঋণখেলাপি আর ইচ্ছকৃত ঋণখেলাপি আলাদা করা হয়নি৷ যারা ব্যাংকের টাকা মেরে দিয়ে ঋণখেলাপি হয়েছেন তাদের শাস্তির আওতায় আনা হয়নি৷’’

তার কথা,‘‘ব্যাংক খাতে যে সংস্কার করার কথা ছিল তা করা হয়নি৷একই পরিবারের চারজন একটি ব্যংকের পরিচালনা পর্ষদে থাকতে পারছেন৷ আগে ছিলো সর্বোচ্চ দুইজন৷ আর আগে পরিচালকরা সর্বোচ্চ ৯ বছর থাকতে পারতেন সেটা বাড়িয়ে ১২বছর করা হয়েছে৷’’

‘কেন্দ্রীয় ব্যাংক হলো ব্যাংকগুলোর অভিভাবক ৷ আমরা দেখছি তাদের নজরদারি ঠিকমতো হয় না৷ বছরের পর বছর ঋণের এই খেলাপি চলছে৷ কিন্তু কোনো সুরাহা হচ্ছে না৷ আমরা কমিশন করে রিপোর্ট দিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য বলেছি৷ কিন্তু হচ্ছে না,’’ বলেন এই অর্থনীতিবিদ৷

গত জুনের হিসাব বলছে বাংলাদেশের ১১টি ব্যাংক ব্যাংকে মোট ৩৩ হাজার ৫৭৫ কোটি টাকা মূলধন ঘাটতি রয়েছে৷ এসবের মধ্যে আছে কৃষি ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ও পদ্মা ব্যাংক৷ এর পাঁচটি ব্যাংকই হলো রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাংক৷ গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রবলেম ব্যাংক হিসেবে ১০টি ব্যাংককে চিহ্নিত করে৷ যদিও নাম প্রকাশ করা হয়নি৷ এরপর এই ধরনের নয়টি দুর্বল ব্যাংকে প্রশাসক নিয়োগ করে বাংলাদেশ ব্যাংক৷

বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম আর লুটপাটের সর্বশেষ উদাহরণ ইসলামী ব্যাংক৷ পরিস্থিতি সামলাতে তাই ইসলামী ব্যাংকের শাখাগুলোর ঋণ অনুমোদনের ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়েছে৷ মন্দার মধ্যেই গত বছর ইসলামী ব্যাংকে সবচেয়ে বড় ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটে৷ এস আলম গ্রুপ একাই ওই ব্যাংক থেকে নিয়মের তোয়াক্কা না করে ৩০ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়৷ এস আলম গ্রুপের কর্ণধারেরাই আবার ব্যাংকটি পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত৷ ব্যাংকটিকে এখন বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ধার দিয়ে সচল রাখাছে৷ ইসলামি ধারার আরো কিছু ব্যাংক এখন সংকটে রয়েছে৷ ইসলমি ব্যাংকসহ শরিয়া ভিত্তিক ছয়টি ব্যাংক এখন বাংলাদেশ ব্যাংককে জরিমানা দিচ্ছে প্রতিদিন৷ নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বাংলাদেশ ব্যাংকে জমা রাখতে না পারায় তাদের এই জরিমানা গুণতে হচ্ছে৷ ইসলামী ব্যাংক ছাড়া অন্য পাঁচটি ব্যাংক হলো: সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ইউনিয়ন ও আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক৷ এর মধ্যে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ছাড়া বাকিগুলো এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন৷ এসব ব্যাংক গত বছরের ডিসেম্বর থেকে তারল্য ঘাটতিতে রয়েছে৷

ব্যাংকের টাকা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে অবৈধ উপায়ে৷ অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র এই ব্যাংকগুলো দুর্বল হওয়ায় অর্থনীতির বিভিন্ন খাতে এর প্রভাব পড়ছে৷ বিনিয়োগ বাড়ছে না৷ ফলে কর্মসংস্থান বাড়ছে না৷

যমুনা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. নুরুল আমিন বলেন,‘‘ব্যাংককে হতে হবে ব্যবসায়ী বান্ধব৷ তারা যদি ব্যবসায়, শিল্পে সহায়তা করে তাহলে এই খাত শক্তিশালী হবে৷ অর্থনীতি লাভবান হবে৷ রাজনৈতিক বিবেচনায় তারা কাজ করে বা করতে বাধ্য হয়৷ ফলে ব্যাংকের খেলাপি ঋণ বাড়ছে৷ ব্যাংকগুলো দুর্বল হচ্ছে৷ যারা খেলাপি ঋণের নামে ব্যাংকের টাকা লুটে নিচ্ছে, দেশের বাইরে পাচার করছে৷ তা

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ