1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. sarderamin830@gmail.com : Ajkerajker Ganamat : Ajkerajker Ganamat
শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫০ অপরাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক । যোগাযোগ: 01773730313
সংবাদ শিরোনাম :
ভোলায় ১০ হাজার ইয়াবাসহ মাদকবিক্রেতা গ্রেপ্তার বাকেরগঞ্জে কেন্দ্রীয় যুবদলের নবগঠিত কমিটিকে স্বগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল যে কোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশের সক্ষমতা রয়েছে ডিএমপি কমিশনার বাকেরগঞ্জের নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদে অচলাবস্থা প্রশাসনের নজর নেই আজ আরাফাতের ময়দান মুখরিত হচ্ছে ‘লাব্বাইক’ ধ্বনিতে বাবুগঞ্জে উপজেলায় ফারজানা, বানারীপাড়ায় ফারুক এবং উজিরপুরে ইকবাল নির্বাচিত বরিশালে ক্লাবফুট চিকিৎসাসেবা নিয়ে জনসচেতনতামূলক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত। বরিশালে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সাংবাদিকদের ভূমিকা অনস্বীকার্য-প্রধান তথ্য অফিসার বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন স্বপন’র পক্ষে গণজোয়ার

ভারতে ‘৬০০ বছরের প্রাচীন মসজিদ’ গুড়িয়ে দিয়েছে ডিডিএ

  • প্রকাশিত : রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ২৭ 0 বার সংবাটি দেখেছে

 

আজকের গণমত ডেস্ক।।

বারো বছরের এই কিশোরের তাই চারদিকের সবুজ ঘাস, গাছ-গাছালি খুব প্রিয় ছিল। ফাওয়াদ ভারতের রাজধানী দিল্লির যে মাদ্রাসায় থাকত, সেখানে যে চারপাশে অনেক গাছ।

বছর দুয়েক আগে হঠাৎ করেই বাবা আর মা মারা যাওয়ার পরে পড়শি রাজ্য থেকে দিল্লির যে মাদ্রাসায় থাকতে এসেছিল ফাওয়াদ, জায়গাটা সেকারণেই ভাল লেগে গিয়েছিল, নিরাপদ মনে হয়েছিল জায়গাটা।

পাশের মসজিদেও ছিল সবুজ রঙের ছড়াছড়ি – ছাদের কড়িকাঠ, খিলান – সেসবও ছিল সবুজ রঙের।

এখন আর নেই।

কারণ ফাওয়াদদের মাদ্রাসাসহ প্রায় ৬০০ বছরের পুরনো আখুন্দজি মসজিদটাই সপ্তাহ দুয়েক আগে বুলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছে দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা ডিডিএ।

দিল্লি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা ডিডিএ কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন একটি সংস্থা। তারা বলছে ওই মসজিদটি অবৈধভাবে বনাঞ্চল দখল করে ছিল।

প্রাচীন ওই মসজিদ, একটি মাদ্রাসা যেখানে ফাওয়াদ এবং আরও ২৫ জন শিক্ষার্থী থাকত, যাদের বেশিরভাগই এতিম। মসজিদ পরিসরেই অবস্থিত এক সুফি সাধকের মাজারও ভেঙে দেওয়া হয় ৩০শে জানুয়ারি।

মধ্যযুগীয় এলাকা মেহরৌলি
দিল্লিতে যে সাতটি মধ্যযুগীয় এলাকা রয়েছে, মেহরৌলি তারই অন্যতম। ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানা প্রাচীন সৌধ আর স্থাপনার ধ্বংসাবশেষ। বিখ্যাত কুতুব মিনারও এই মেহরৌলি অঞ্চলেই। আবার সেখানেই ৭৮৪ একর জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে বনাঞ্চল ‘সঞ্জয় বন’।

ডিডিএ এক বিবৃতিতে বলেছে যে মসজিদটি একটি “অবৈধ কাঠামো” ছিল, যা “বিনা বাধায়, কোনও সমস্যা ছাড়াই” ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

তবে মসজিদের ইমাম জাকির হুসেন এবং তাদের আইনজীবী শামস খাজা এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন যে সম্পত্তিটি দিল্লি ওয়াকফ বোর্ডের অধীন। ওই ওয়াকফ বোর্ডই শহরে ইসলামিক সম্পত্তিগুলি রক্ষণাবেক্ষণ করে।

মি. হুসেন দাবি করেছেন যে কাঠামোটি ভেঙে ফেলার আগে তাদের লিখিত নোটিশ দেয়নি ডিডিএ। তিনি আরও অভিযোগ যে কয়েকটি কুরআনও নষ্ট হয়েছে, শিশুদের জিনিসপত্র সরিয়ে নিতে দেওয়া হয় নি। আর সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ, যেসব নথি ছিল মসজিদে, যা দিয়ে প্রমাণ করা যেত যে মসজিদটি অবৈধ ভাবে দখল করা জমিতে অবস্থিত ছিল না, সেসবও বেআইনি ভাবে নিয়ে নেওয়া হয়েছে তাদের কাছ থেকে।

“আমাদের শীতের মধ্যে বার করে দেওয়া হয়েছে। এখন প্রার্থনা করা ছাড়া কিছুই করতে পারছি না আমরা,” বলছিলেন মি. হুসেন।

বনাঞ্চলে জবরদখল?
ডিডিএ অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে যে মসজিদটি যে জমিতে দাঁড়িয়ে ছিল সেটা তাদের এলাকা।

ডিডিএ-র উদ্যান বিভাগের প্রধান কমিশনার রাজীব কুমার তিওয়ারি বিবিসিকে বলেন, “আমরা ঘটনাস্থল সাফ করার সময় কিছু বই পেয়েছি এবং আমরা মসজিদ কর্তৃপক্ষকে সেগুলো আমাদের কাছ থেকে নিয়ে যেতে বলেছি।“

মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলার পর থেকে কর্তৃপক্ষ মেহরৌলির আরও কয়েকটি ঐতিহাসিক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে, যার মধ্যে দিল্লির প্রথম সুফি সাধকদের একজনের মাজারও রয়েছে বলে অনেকে বিশ্বাস করেন।

সংরক্ষণ বিশেষজ্ঞ এবং ইতিহাসবিদরা অত্যন্ত ক্ষুব্ধ এ ঘটনায়।

তারা বলছেন, শত শত বছরের পুরনো স্থাপনাগুলিকে কী ভাবে অবৈধ তকমা দেওয়া যায়?

তাদের আরও অভিযোগ যে পরিকল্পিত ও অন্যায়ভাবে মুসলিম সাংস্কৃতিক এবং ঐতিহাসিক স্থাপনাগুলিকেই লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হচ্ছে।

তবে ডিডিএ জানাচ্ছে, ‘সঞ্জয় বন’-এ যে ২০টি ধর্মীয় কাঠামো সরিয়ে দেওয়া হবে, তার মধ্যে ১৬টি মাজার এবং চারটি মন্দির রয়েছে।

“স্পষ্টতই একটি প্যাটার্ন উঠে আসছে এবং এটি দেশের জন্য বিপজ্জনক নজির স্থাপন করছে যেখানে সব ধর্মকে সমানভাবে বিবেচনা করার কথা,” বলছেন ইতিহাসবিদ সোহেল হাশমি।

কিন্তু ডিডিএ-র কর্মকর্তা তিওয়ারি বলেন, ‘পুরোপুরি আইনি’ পদক্ষেপকে অহেতুক ধর্মীয় রং দেওয়া হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন যে ডিডিএ প্রায়শই মন্দির সহ সরকারি জমিতে জবরদখল হটানোর কাজ করে এবং মসজিদ যেদিন ভাঙ্গা হয়েছে সেই একই দিনে অন্য এলাকায় পাঁচটি মন্দিরও ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

“আমরা শুধু আমাদের কাজ করছি,” তিনি বলেন।

‘আগে থেকে ঘোষণা করা হয় নি’

মসজিদের সঙ্গে যুক্ত মানুষরা বলছেন, মসজিদটি ভাঙা হবে, এমন কোনও ঘোষণা আগে থেকে করা হয় নি। ভাঙ্গা শুরুর সময়ে তাই বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়।

বিবিসি নয়জন শিশুর সঙ্গে কথা বলেছে, যারা জানিয়েছে, ভোর ৫টায় তারা যখন সকালের নামাজের জন্য ঘুম থেকে উঠেছিল, তখনই তারা বিকট শব্দ শুনতে পায়।

তাদেরই একজন ওমরের মনে আছে, কয়েক ডজন পুলিশ, কয়েকটি বুলডোজার এবং “কিছু রাগী চেহারার লোক চিৎকার করে আমাদের বাইরে আসতে বলছিল।“

এমন সময় ইমাম সাহেব ছুটে এলেন। ‘দৌড়াও, পালাও’ বলে চিৎকার করে ওঠেন তিনি।

“যা পাও নিয়ে দৌড়াও,” শিশুদের উদ্দেশ্যে বলেন তিনি।

ওমর দৌড়িয়েছিল শুধু একটা সোয়েটার আর চপ্পল হাতে। তার বন্ধু মুরীদ সেটাও করতে না পেরে খালি পায়ে পালিয়ে যায়। আরও পাঁচটি শিশু, যাদের বয়স ১০ বছর, তারাও কোনও শীতের পোষাক বা জুতো পড়ার সময় পায় নি।

একটি শিশু, জাফরের কথায়, “আমার ভাগ্য ভাল, অন্তত খাবারের থালাটি নিয়ে আসতে পেরেছি। আর আমার প্রিয় ব্যাটটা।

শুধু যে শিশুরাই বিধ্বস্ত তা নয়। মিঃ

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ