1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. sarderamin830@gmail.com : Ajkerajker Ganamat : Ajkerajker Ganamat
বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৭ অপরাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক । যোগাযোগ: 01773730313
সংবাদ শিরোনাম :
১১ নং ভরপাশা ইউনিয়ন বিএনপির বিশাল মিছিল। ৬ হাজার কোটি টাকায় ড্রেজিংয়ের পরও রাবনাবাদ চ্যানেলে নাব্য সংকট ভিড়তে পারে না কয়লাবাহী বড় জাহাজ, অনিশ্চয়তা বাড়ছে পায়রাসংলগ্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোয় আসিফ নজরুলের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের পরিণতি ভোগ করতেই হবে: রাষ্ট্রদূত মুশফিক বরগুনার তালতলীতে চাচার গোপন অঙ্গ কর্তন কিশোরগঞ্জে যুবদলে থাই জুয়ারী ও বিতর্কিত লোকের মিলন মেলা। কিশোরগঞ্জে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিসব উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। ট্রাম্পের নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পেতে পারেন যারা প্রশাসনে যারা দায়িত্বে রয়েছেন আপনারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। কেউ যাতে বৈষম্যের শিকার না সেদিকে খেয়াল রাখবেন—- এ্যাড. নজরুল ইসলাম খান রাজন সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের সিদ্ধান্ত কর্মস্থলে ডাক্তার সুভাষের অনুপস্থিতে বাবুগঞ্জে ‘স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা চিকিৎসা সেবা’ মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে

সরকারী তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ’র অনিয়ম-দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাৎ’র অভিযোগে শিক্ষার্থীদের সংবাদ সম্মেলন

  • প্রকাশিত : সোমবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৪
  • ১৯ 0 বার সংবাটি দেখেছে

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঝালকাঠির ‘কাঠালিয়া সরকারী তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া ডিগ্রি কলেজ’ এর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তপন কুমার হালদারের বিরুদ্ধে অনৈতিক কার্যকলাপ, চাকুরী দেয়ার নামে অর্থ আত্মসাৎ, অনিয়ম ও দুর্নীতির জন্য চাকুরী থেকে বরখাস্তের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ওই কলেজের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১৯ আগষ্ট) বেলা বারোটায় বরিশাল প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়। অর্ধশত শিক্ষার্থীদের স্বাক্ষরিত লিখিত পত্রটি সাংবাদিকদের সামনে পাঠ করেন কলেজ ছাত্র নাইম শিকদার। তিনি বলেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তপন কুমার হালদার অবৈধভাবে গত ৩১/০৮/২০২৩ ইং তারিখে সিনিয়র শিক্ষক বাদ দিয়ে অবৈধভাবে অধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। যাহা সম্পূর্ণ নিয়ম ও বিধি বহির্ভূত। সম্প্রতি তার (অধ্যক্ষ) বিরুদ্ধে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ডি.জি বরাবর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করা হলেও এখন পর্যন্ত কোন সুফল পাইনি। সংবাদ সম্মেলনে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর এর ১৬টি অনিয়ম ও দুর্নীতি তুলে ধরেন।

১. এইচ.এস.সি পরীক্ষা ২০২৪ইং এর ফরম পূরণের বোর্ড ফি ২১শ টাকা। কিন্তু জন প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে নেয়া হয়েছে (মানবিক, বাণিজ্য) ৫৫শ এবং বিজ্ঞান শাখায় ৬ হাজার টাকা।
২. ডিগ্রি ১ম, ২য়, ৩য় বর্ষের ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরম পূরণ ও অন্যান্য ফি ১৮শ টাকা। কিন্তু জনপ্রতি নেয়া হয়েছে প্রায় ৫ হাজার টাকা।
৩. একাদশ শ্রেণীর ২০২৪ইং এর ভর্তি বাবদ বোর্ড ফি সর্বোচ্চ ১৫শ টাকা হলেও নেয়া হয়েছে ৩৪শ টাকা।
৪. একাদশ শ্রেণীর ভর্তি ২০২৪ইং এর ম্যানুয়ালে ভর্তি বাবদ জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা নেয়া হলেও বোর্ড ফি ১৫শ টাকা।
৫. উন্মুক্ত পরীক্ষা ডিগ্রি, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ভর্তি ও ফরম পূরণ বাবদ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ফি ৩৫শ টাকা হলেও জনপ্রতি নেয়া হয়েছে ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা।
৬. ২০২৩-২৪ইং অর্থ বছরে বিজ্ঞান শাখার বরাদ্ধকৃত যন্ত্রপাতি না কিনে টাকা আত্মসাৎ করেছে।
৭. অন্য অন্য শাখার ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি, সাবজেক্টের প্রভাষক ছাড়া তার অনুগত শিক্ষক নিয়া দুইবার উত্তলোন করিয়া ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে।
৮. কিছু শিক্ষকদের বকেয়া পাওনা দেওয়ার জন্য ঘুষ দাবি।
৯. টেন্ডার ছাড়া কলেজের জমি অবৈধ দখলদারদের দিয়ে ৩ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।
১০. শ্রান্তি বিনোদনের সরকারী অর্থ দেওয়ার কথা বলে প্রতি শিক্ষক কর্মচারীর কাছ থেকে নিয়েছে ১৭শ টাকা।
১১. এসিআর ভালো দেওয়ার জন্য কিছু শিক্ষকদের কাছ থেকে ঘুষ দাবি করেছে।
১২. ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তি দেয়া বাবদ শত শত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২২০ টাকা থেকে শুরু করে ২/১ হাজার টাকা পর্যন্ত।
১৩. মসজিদ কমিটির আহবায়কের অনুমতি ছাড়া ফান্ডের টাকা উত্তোলন করে ও ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে মসজিদের কাজ না করে প্রায় ৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।
১৪.৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নিয়োগ দেয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছে।
১৫. কলেজে আইসিটি শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও নিজ দায়িত্বে পুনরায় নতুন আইসিটি শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে ২ লাখ টাকাসহ অন্যান্য বিভাগে শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে।
১৬. বর্তমানে কলেজের কোষাগার থেকে রিসিট ও নন রিসিপ্ট নামে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে।

  1. সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন, টাকা দিয়ে চাকুরী না পাওয়া ৩ জন। মোঃ বেল্লাল আকন বলেছেন, কলেজে দপ্তরি পদে চাকুরী পাওয়ার অনুকূলে তিনি ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ তপন কুমার হালদার কে নগদ ৩ লাখ দিয়েছেন এবং চাকুরি হবার পর ২ লাখ দিবেন। কিন্তু টাকা দিয়ে চাকুরী পাননি। মোসাঃ রোজিনা বেগম বলেন, দপ্তরি পদে তিনিও চাকুরির জন্য দিয়েছেন ২ লাখ হবার পর দিবেন ২ লাখ টাকা। কিন্ত চাকুরি পাননি। মোঃ নাসির হোসেন বলেন, তার ভাইয়ের বউ নাদিরার মাস্টার রুলে চাকুরীর জন্য নগদ দিয়েছেন ৪ লাখ। কথা ছিল ২/১ বছর পর চাকুরী পারমেন্ট হবে। কিন্ত টাকা দিলেও চাকুরী পাননি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ