স্টাফ রিপোর্টার
বরিশালের বাকেরগঞ্জে চরামদ্দি ওয়াজেদুন্নেছা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (ডব্লিউকে) প্রধান শিক্ষক গনির বিরুদ্ধে বিদ্যালয় ফান্ডের অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় কারাভোগ করলেও এখনো বহাল তবিয়তে আছেন তিনি। এসব ঘটনায় একাধিক শিক্ষার্থীর অভিভাবক ও সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হুমায়ুন কবির বলেন তার বিরুদ্ধে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার মিলছে না।
জানা গেছে, ২০১২ সালে বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন গনি। যোগদানের পর থেকেই তিনি বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফান্ড থেকে অর্থ আত্মসাৎ শুরু করেন, তার এই দুর্নীতি ও প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের মুখ থেকে বাঁচানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে আমি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। গত ২৬ শে জুন ২০২৪দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় প্রধান শিক্ষকের অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়,এই প্রতিবেদনের এর ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা তদন্ত কমিটি গঠন করে,উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তাকে মো. ওবায়দুলকে তদন্তভার দেওয়া হয়, এবং তদন্তে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়, এরপরও কিভাবে প্রধান শিক্ষক গনি বহাল তবিয়তে নিয়মিত অফিস করে যাচ্ছে,এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সহ সাধারণ জনগণের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখাযা,গত ৩০ শে সেপ্টেম্বর প্রধান শিক্ষক গণি অত্র বিদ্যালযের জমি থেকে একটি গাছ বিক্রি করে, গাছটির দাম ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা এই বিষয় নিয়ে ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য হুমায়ুন কবির ৫ই অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন, তিনি আরো বলেন ওয়াহেন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক গনি দুর্নীতিবাজ থাকা সত্ত্বেও আমি সত্যের পক্ষে অভিযোগ দিয়ে কোন প্রতিকার পাইনা। বর্তমানে প্রধান শিক্ষক গণি স্কুলের গাছ বিক্রি করছে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কেউ জানে না। গাছের বিষয় মিলন ব্যাপারীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রধান শিক্ষক গনি স্যারে আমার কাছে গাছ বিক্রি করেছে, এখন আবার আমাকে সেই গাছ ফেরত দিতে বলে আমি সেটা কিভাবে দিব, সহকারী প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম মোহন বলেন গাছ বিক্রি করেছে প্রধান শিক্ষক এ ব্যাপারে তার সাথে ফোনে কথা বলেন , বৃহস্পতিবার বেলা ১ টা ৫০ মিনিটের সময় স্কুলে গিয়ে দেখা যায় ক্লাসরুমে তালাবদ্ধ এ বিষয়ে সহকারি প্রধান শহিদুল ইসলাম মোহনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন প্রধান শিক্ষক স্যারে ছুটি দিয়ে বরিশাল চলে গেছে,হয়তোবা আবহাওয়া খারাপ এজন্যই ছুটি দিয়েছে। ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রধান শিক্ষক এভাবেই নিজের খেয়াল খুশি মতন চলেন সরকারি কোন নিয়ম কাননের তোয়াক্কা করেনা তিনি সকলকে ম্যানেজ করে চলেন দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক এই প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে ধ্বংস করেছে অত্র এলাকার শিক্ষার্থীদের, তাই এই দুর্নীতিবাজ শিক্ষকের বিচারের দাবি জানাই।তিনি আরো বলেন এই দুর্নীতিবাজের যদি এই বাংলার জমিনে বিচার না হয়,তাহলে বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানরাই এরকম দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকবে। তাই এই দুর্নীতিবাজ কে বিচারের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা হোক।