(নুরুজ্জামান খোকন) কাউখালী প্রতিনিধি।।
পিরোজপুর কাউখালী উপজেলার ১নং সয়না রঘুনাথপুর ইউনিয়নের “শীর্ষা আছিয়া খাতুন নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের” প্রধান শিক্ষক সাজেদুল ইসলামকে বেআইনিভাবে সাময়িক বরখাস্ত ও স্কুলে অবৈধভাবে শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধান শিক্ষক।
অদ্য ০২ অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার, সন্ধ্যা ৭:০০ ঘটিকার সময় প্রধান শিক্ষক প্রেস ক্লাবে উপস্থিত হয়ে লিখিত ও মৌখিকভাবে অভিযোগ প্রকাশ করেন যে,অত্র বিদ্যালয়ের সাবেক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য, পিরোজপুর জেলা উপদেষ্টা ও সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী রুহিয়া বেগম,গত ২০২৩ সালে ৪র্থ শ্রেণীর কর্মচারী অবৈধ নিয়োগের প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে সভাপতি গত ০১/০৬/২৩ তারিখ প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে স্কুলের যাবতীয় ফাইল,নথিপত্র,জরুরী কাগজ সহ জোরপূর্বক আলমারির চাবি নিয়ে যায়। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জানতে চাইলে সভাপতির ভাই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা কাজী রফিকুল ইসলাম অকথ্য ভাষায় গালাগাল সহ মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। পরবর্তীতে প্রধান শিক্ষক কাউখালী থানায় একটি জিডিসহ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, নির্বাহী কর্মকর্তা ও জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ পেশ করেন।
তিনি আরো বলেন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক(গণিত-সা:বিজ্ঞান) পদে মোঃ আব্দুল হাইকে জাল সনদে অবৈধ নিয়োগ প্রদান করেন। এছাড়াও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কানন রানী হালদারের নিয়োগে সনদপত্র জাল ছিল। উক্ত বিষয় অবৈধ শিক্ষক নিয়োগ তদন্তের জন্য গত ২৫/০৭/২৪ তারিখ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা ও নির্বাহী অফিসার বরাবর আবেদন করেন। ইতিপূর্বে সাবেক ম্যানেজিং কমিটি ও অভিযুক্ত শিক্ষকবৃন্দ ক্ষিপ্ত হয়ে ষড়যন্ত্র মূলক (সাধারণ ছুটি কালীন)গত ২১-০৭-২৪ তারিখ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করলে পিরোজপুর জেলা প্রশাসক বরাবর বিষয়টি নিয়ে আবেদন করিলে যাহা উপজেলা নির্বাহী অফিসার কর্তৃক তদন্ত শেষে আমাকে বেআইনিভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, যাহা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রবিধাণমালা ২০২৪ এর ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে প্রতিয়মান হয়।
পরবর্তীতে স্কুলের দাতা সদস্য ও সভাপতির ভাই কাজী রফিকুল ইসলাম ক্ষিপ্ত হয়ে গত ২২/০৯/২৪ তারিখ পিরোজপুর আদালতে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা করেন। তিনি বলেন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে একজন প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা,অপপ্রচার ও সাময়িক বরখাস্ত করায় আমি ব্যক্তিগত ও পারিবারিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। তাই সাংবাদিকবৃন্দের মাধ্যমে প্রচার ও সত্য উদঘাটন সহ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যাহাতে উক্ত বিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ ও সার্বিক সমস্যা সমাধান হয়।
প্রেস ক্লাবের পক্ষ থেকে সাবেক সভাপতি কাজী রুহিয়া বেগমকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মোবাইল ফোনে বলতে অস্বীকৃতি জানান, তার ভাই কাজী রফিকুল ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন- প্রধান শিক্ষকের অভিযোগগুলো সম্পূর্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।