1. faysal.rakib2020@gmail.com : admin :
  2. sarderamin830@gmail.com : Ajkerajker Ganamat : Ajkerajker Ganamat
মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩২ অপরাহ্ন
নোটিশ :
বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা পর্যায় সংবাদকর্মী আবশ্যক । যোগাযোগ: 01773730313
সংবাদ শিরোনাম :
সাংবাদিক অঙ্গনের নক্ষত্র জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি মুহম্মদ আলতাফ হোসেন আর নেই পরিবেশ অধিদপ্তর ও ইয়ুথনেটের যৌথ উদ্যোগে বরিশালের বাজারে নিষিদ্ধ পলিথিন বন্ধে প্রচার অভিযান দেশে টোপ-চার নকল করতে ভয়ংকর যশোরের মিঠু গৌরনদীতে ধরাছোঁয়ার বাইরে সাবেক মেয়র হারিসের ক্যাডার আকন আজাদ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে চূড়ান্ত ভর্তি শেষে এখনও ৭৭টি আসন ফাঁকা বাকেরগঞ্জে শ্লীলতাহানির প্রতিবাদ করায় ৪ জনকে পিটিয়ে আহত বাকেরগঞ্জের  সাবেক এমপি সহ বিএনপির ১২৫ নেতাকর্মী খালাস বাকেরগঞ্জ প্রধান শিক্ষক অর্ধ কোটি টাকা আত্মসাত করেও আছেন বহাল তবিয়তে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা নীরব ভূমিকায়। বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত চেয়ারম্যান, সিরাজুল হক হাওলাদার – এর অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন । কাউখালীতে সংবাদ সম্মেলন করলেন ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষক

দেশে টোপ-চার নকল করতে ভয়ংকর যশোরের মিঠু

  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৭ 0 বার সংবাটি দেখেছে

 

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত ‘প্রিমিটিভ ফিশিং বাই আকিব’ এর পণ্য নকল করে বাজারে বিক্রির করার প্রতারক চক্রের হোতা হলেন- যশোর জেলার বেজপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ‘মোঃ নুরুজ্জামান মিঠু মোল্লা’ নামের এক ব্যক্তি। এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করেছেন ‘প্রিমিটিভ ফিশিং বাই আকিব’ নামক প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী মোঃ আতাউর রহমান আকিব।

তিনি বলেন, বাজারে ‘প্রিমিটিভ ফিশিং বাই আকিব’ এর পণ্যের সুনামের পাশাপাশি ব্যাপক চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে তাদের প্রতিষ্ঠানের পণ্য নকলভাবে তৈরী করে একটি চক্র। গত কয়েক বছর ধরে একদিকে যেমন লক্ষাধিক সাধারণ মৎস্য শিকারি প্রতারিত হয়েছেন, ঠিক তেমনি নষ্ট হয়েছে ‘প্রিমিটিভ ফিশিং বাই আকিব’ এর ব্যবসায়িক সুনাম। এমন পরিস্থিতির মধ্যে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, বাজারে নকল পণ্যের প্রতারক চক্রের হোতা হলেন- যশোর বেজপাড়া নিবাসী ‘নুরুজ্জামান মিঠু মোল্লা’ নামের এক টোপ-চার ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে নাম। সুস্পষ্ট তথ্য প্রমাণ সহ রাজশাহী জেলা জজ আদালতে মামলাও দায়ের হয়েছে। প্রতারক ‘নুরুজ্জামান মিঠু মোল্লা’ বিরুদ্ধে দায়েরকৃত এই মামলার রায়ে “প্রিমিটিভ ফিশিং বাই আকিব” এর রেজিস্টার্ড ট্রেডমার্ক যুক্ত দুটি পণ্য ‘রেডি টোপ’ ও ‘কারেন্ট চার’ প্রতারণামূলক ভাবে নকল করে বাজারে উৎপাদন, বিক্রয়, বিপণন ও প্রচার এর মাধ্যমে লক্ষাধিক শিকারির সাথে প্রতারণার বিষয় প্রমাণিত হয়েছে। রাজশাহী জেলা জজ আদালত আসামী মিঠু এর বিপক্ষে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা এর সাথে সাথে শিল্প মন্ত্রণালয় ও ট্রেডমার্ক অধিদফতরকে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, পশ্চিমা বিশ্বের কিছু দেশে তো বড়শি দিয়ে মাছ শিকার কে রীতিমতো স্পোর্টস হিসেবে গণ্য করা হয়। আমাদের দেশেও বড়শি দিয়ে মাছ শিকারের জগতে রয়েছে লাখ লাখ সৌখিন মৎস্য শিকারী। বাহারি ছিপ বড়শির সাথে রয়েছে বিভিন্ন টোপ-চার এর কারিশমা। সৌখিন মৎস্য শিকার এর এই জগতে বেশ কিছুটা ভিন্নতা ও আধুনিকতা। আন্তর্জাতিকভাবেও সুনামধন্য ‘প্রিমিটিভ ফিশিং বাই আকিব’ নামের প্রতিষ্ঠানটি। তারা তৈরি করেছে হুইল ছিপ এবং দেশীয় টোপ-চার। বাংলাদেশের গন্ডি পেরিয়ে ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া সহ বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রে পাওয়া যায় তাদের পণ্য। তাদের রয়েছে- একাধিক রেজিস্টার্ড ট্রেডমার্ক ও বিএসটিআই এর সনদপত্র।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নুরুজ্জামান মিঠু মোল্লা যশোর এর বেজপাড়ার আক্কাস ও রোজি দম্পতির সন্তান। ইউটিউবে মাছ ধরা ভিডিও পাবলিশ করে হয়ে গেছেন ইউটিউবার। ধানমন্ডি লেক, মিরপুর চিড়িয়াখানা লেক সহ বিভিন্ন যায়গায় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও শৌখিন মৎস্য শিকারিদের পাশে কৌশলে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে প্রচার করেন সকলেই তার ঘনিষ্টজন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যক্তি জানান, দেশে প্রায়ই বিভিন্ন স্থানে প্রতারণা পূর্বক ভেজাল পণ্য বিক্রি করে আসছে নুরুজ্জামান মিঠু মোল্লা।

নিশ্চিত করে স্থানীয় এক সূত্র জানায়, কয়েক বছর আগে মিঠু মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গ্রেপ্তার হয়ে জেলহাজতে ছিল। গভীর রাতে এলাকার অন্যের পুকুরে বড়সি দিয়ে মাছ চুরি করে বিক্রি করার অভিযোগ। যা তার ইউটিউবে বিভিন্ন ভিডিওতেও এসব তথ্যের সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। মামলার নথিপত্রের বিস্তারিত পর্যালোচনা হতে জানা যায় মিঠু নকল করেছিলেন ‘প্রিমিটিভ ফিশিং বাই আকিব’ এর ‘রেডি টোপ’ ও ‘কারেন্ট চার’। গোপনে প্রমাণ জোগাড়ের স্বার্থে অর্ডার করা হলে পণ্য ভেজাল ও নকল করে বিক্রি করেছেন খোদ ‘প্রিমিটিভ ফিশিং বাই আকিব’ এর স্বত্বাধিকারীর কাছেই। “প্রিমিটিভ ফিশিং বাই আকিব” এর পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে মিঠু কে একাধিকবার সাবধান করার পরেও ‘মিঠু’ উল্টো হুমকি দেন ‘প্রিমিটিভ ফিশিং বাই আকিব’ এর স্বত্বাধিকারীকে। ইউটিউবের বিভিন্ন ভিডিওতে মিঠু কে বলতে শোনা যায় ‘টোপ ও কারেন্ট চার এর ব্যবসা সে বন্ধ করব না’।

অন্যদিকে, নুরুজ্জামান মিঠু মোল্লা তার ইউটিউব লাইভ ভিডিওতে তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাটি ‘মিথ্যা ও বানোয়াট’ বলে বক্তব্য দেয়। মুঠোফোনে কল দিলে তিনি নানা দুঃখের বর্ণনা তুলে ধরেন। তার টোপ-চার উৎপাদিত পণ্যের জন্য বিএসটিআই অনুমতির প্রয়োজন হয় না। তার স্থানে তিনি সঠিক রয়েছেন বলে জানান।

 

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

Comments are closed.

‍এই ক্যাটাগরির ‍আরো সংবাদ